ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তখন তারা মূলত একটি ডোমেইন নাম (যেমন: giglovin.com) লিখে থাকেন। এই নামটি DNS (Domain Name System) এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সার্ভারের IP অ্যাড্রেসে রূপান্তরিত হয়, যেন ব্যবহারকারীর ব্রাউজার সেই ওয়েবসাইটটি খুঁজে পায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি যদি অনিরাপদ হয়, তাহলে হ্যাকার সহজেই ভুয়া বা ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীকে নিয়ে যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানেই এসেছে DNSSEC

DNSSEC কী?

DNSSEC (Domain Name System Security Extensions) হলো DNS-এর একটি নিরাপত্তা ভার্সন যা DNS রেকর্ডের সত্যতা যাচাই করতে সাহায্য করে। এটি নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারী যেই DNS তথ্য পাচ্ছে, তা মূলত সঠিক সোর্স থেকেই এসেছে এবং সেটি পরিবর্তন বা বিকৃত হয়নি।

DNSSEC কীভাবে কাজ করে?

DNSSEC মূলত ক্রিপ্টোগ্রাফির মাধ্যমে DNS রেকর্ডে ডিজিটাল সিগনেচার যোগ করে। এই সিগনেচারগুলো ব্যবহারকারীর DNS রেজলভার দ্বারা যাচাই করা হয়।

DNSSEC কাজ করার ধাপগুলো:

  1. Key Generation:
    প্রতিটি ডোমেইনের জন্য একটি public-private key pair তৈরি করা হয়।
  2. Signing:
    ডোমেইনের DNS রেকর্ডগুলো প্রাইভেট কী দিয়ে সাইন করা হয়। এ থেকে তৈরি হয় RRSIG রেকর্ড।
  3. Publishing:
    এই signed রেকর্ড ও DNSKEY রেকর্ড DNS-এ প্রকাশ করা হয়।
  4. Validation:
    যখন কোনো ইউজার DNS রেকর্ড চায়, তখন সে সেই রেকর্ড ও তার সিগনেচার পায়। পাবলিক কী দিয়ে সেই সিগনেচার যাচাই করে নেয়।
  5. Chain of Trust:
    Root DNS থেকে শুরু করে TLD (.com, .net ইত্যাদি) পর্যন্ত একটি ট্রাস্ট চেইন থাকে। প্রতিটি ধাপে পাবলিক কী যাচাই হয়।

DNSSEC কেন গুরুত্বপূর্ণ?

DNSSEC কিভাবে সেট করবেন?

১. DNS হোস্টিং ও রেজিস্ট্রার যাচাই করুন:

DNSSEC সাপোর্ট করে এমন DNS হোস্টিং প্রোভাইডার ব্যবহার করুন (যেমন: Cloudflare, Namecheap, GoDaddy ইত্যাদি)।

২. DNSSEC চালু করুন (DNS হোস্টে):

আপনার DNS প্ল্যাটফর্মে DNSSEC Enable করার অপশন থাকবে। এতে একটি DS (Delegation Signer) রেকর্ড জেনারেট হবে।

৩. DS রেকর্ড Registrar-এ যুক্ত করুন:

আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রার প্যানেলে গিয়ে DS রেকর্ডটি যুক্ত করুন। এটি রুট চেইনে আপনার ডোমেইনের ট্রাস্ট তৈরি করবে।

৪. টেস্ট করুন:

DNSSEC সঠিকভাবে কনফিগার হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে ব্যবহার করতে পারেন:

DNSSEC ব্যবহারে কিছু সতর্কতা:

DNSSEC হলো ইন্টারনেট নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, বিশেষ করে যদি আপনার ওয়েবসাইট ট্রানজ্যাকশন, ইউজার ডেটা বা অন্য সেনসিটিভ তথ্য পরিচালনা করে। এটি না থাকলে ব্যবহারকারীরা DNS Spoofing-এর মাধ্যমে প্রতারিত হতে পারেন। তাই একটি নিরাপদ, বিশ্বাসযোগ্য ও উন্নত ওয়েবসাইট নিশ্চিত করতে DNSSEC ব্যবহার অপরিহার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *